1. info@janopadbangladeshkhobor.online : দৈনিক জনপদ বাংলাদেশ খবর : দৈনিক জনপদ বাংলাদেশ খবর
  2. info@www.janopadbangladeshkhobor.online : দৈনিক জনপদ বাংলাদেশ খবর :
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
BPEC এবং EDF এর যৌথ উদ্যোগে বর্ষবরণ উৎসব উদ্যোক্তা এবং ব্র্যান্ড প্রমোটরদের মিলনমেলা ২০২৫ BPEC এবং EDF এর যৌথ উদ্যোগে বর্ষবরণ উৎসব উদ্যোক্তা এবং ব্র্যান্ড প্রমোটরদের মিলনমেলা ২০২৫ Baishakhi Mela at Pan Pacific Sonargaon Dhaka Hotel got underway BPEC & EDF Foundation পহেলা বৈশাখ ও উদ্যোক্তা মিলন মেলা ২০২৫ ঈদ শপিং বাজেট জনগণের মতামত পরামর্শ ঈদ শপিং বাজেট জনগণের মতামত পরামর্শ বকেয়া বেতনের দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ দৈনিক জন পদ বাংলাদেশ পক্ষ থেকে  rukshana bristyকে নারী উদ্যোক্তা দিবসের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা দৈনিক জন পদ বাংলাদেশ পক্ষ থেকে Jui ashrafকে নারী উদ্যোক্তা দিবসের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা দৈনিক জন পদ বাংলাদেশ পক্ষ থেকে Jahan MN pinkyকে নারী উদ্যোক্তা দিবসের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে সন্দেহ দূরে রাখবেন কীভাবে?

উৎসবের আলো
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০২৪
  • ২০৩ বার পড়া হয়েছে

দাম্পত্য জীবন সুখময় হয়ে ওঠে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সম্মান ও সহমর্মিতার উপর নির্ভর করে। একে অপরের প্রতি বিশ্বাস, ভালবাসা ও সহানুভূতি যত গভীর হয়, দুজনের বন্ধনটাও যেন তত দৃঢ় হতে থাকে। আর যখনই এই সম্পর্কে বিশ্বাস ও ভালবাসার বদলে অনুপ্রবেশ করে অবিশ্বাস ও সন্দেহ তখনই দুজনের মধ্যে বাড়তে থাকে দুরত্ব। যার ফলাফল দাম্পত্য কলহ, নির্যাতন এবং অবশেষে পারিবারিক ভাঙন। অধিকাংশ দাম্পত্য কলহের সূত্রপাত হয় স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রতি সন্দেহ থেকেই।

আসলে আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে জীবন গতিশীল হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু মোবাইল, ইন্টারনেট, ফেসবুকের জন্যে বাড়ছে পরিচিত মণ্ডল। বাড়ছে অপ্রয়োজনীয় সম্পর্ক। বাড়ছে নেতিবাচক আবেগ ও অনুভূতি। যা অন্যান্য সর্ম্পকগুলোর পাশাপাশি টানাপোড়েন সৃষ্টি করছে বৈবাহিক সম্পর্কেও।

সেই আদি যুগ থেকে যে নেতিবাচক আবেগটি এককভাবে সংসারের সুখকে নিঃশেষ করার জন্যে যথেষ্ট তা হলো সন্দেহ। সন্দেহ বিভিন্ন রূপে আমাদের সম্পর্কে অনুপ্রবেশ করে। এটা কারো কারো মধ্যে থাকে স্বাভাবিক পর্যায়ের। আবার কারো মধ্যে প্রকাশ পায় অস্বাভাবিক অসুস্থতা রূপে।

আসুন জেনে নিই সাধারণত কী কারণে স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে সন্দেহের উদ্রেক হয় এবং এর সহজ সমাধানের মাধ্যমে সুখের সংসার গড়ার উপায়।

পারস্পরিক সম্মান বনাম মাত্রাতিরিক্ত অধিকারবোধ সে আমার সম্পত্তি নয়, সে আমার সম্পদ – কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা হৈমন্তি গল্পের এই লাইনটি আমরা সবাই কমবেশি পড়েছি। কিন্তু আদৌ কী এর তাৎপর্য বুঝার চেষ্টা করেছি?

আসলে জীবনসঙ্গীকে সম্পত্তির মতো ভোগ করে নয় বরং সম্পদ হিসেবে যখন একে অপরকে মূল্যায়ন করবে, যত্ন নিবে তখনই এর গভীরতা বাড়বে। একটি বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন যে বিয়ের পরে স্বামী-স্ত্রী দুজন একটি অভিন্ন সংসার জীবনে প্রবেশ করলেও প্রত্যেকেরই রয়েছে পৃথক ব্যক্তিসত্ত্বা, পৃথক চিন্তা ভাবনা, পৃথক চাওয়া পাওয়া। যখন এই পৃথক সত্ত্বাটির প্রতি পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া থাকে না, থাকে না ছাড় দেয়ার মানসিকতা তখনই শুরু হয় দ্বন্দ্ব।

যে-কোনো একপক্ষের মাত্রাতিরিক্ত অধিকারবোধকে তখন মনে করা হয় সন্দেহ। এই যেমন স্ত্রীর ব্যাপারে স্বামীদের মাত্রাতিরিক্ত অধিকারবোধ এটাকে কোনো কোনো স্ত্রী যেমন অপছন্দ করেন, তেমনি অনেক স্ত্রী আছে পছন্দও করেন। স্বামীর একটু মনোযোগের অভাব হলে তাদের খেদের কোনো শেষ থাকে না। আবার কোনো বিষয়ে স্বামীর অতিরিক্ত প্রশ্ন, বিধি নিষেধকে স্ত্রী প্রথমে স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, পরে সন্দেহ করা হচ্ছে বলে আক্ষেপ করেন।

যদিও অনিশ্চয়তাবোধ থেকে অথবা স্বভাবসুলভ স্বামীর আচরণে এই বাড়াবাড়ি প্রকাশ পায়। তাই এমতাবস্থায় সংসারে শান্তির নিমিত্তে স্বামীর এই আচরণকেই উৎসাহিত করুন। তাহলে উনি নিশ্চিত হবেন যে, না ঠিক আছে; আমার স্ত্রী আমারই আছে। আর একবার আস্থা অর্জন করে ফেলার পর দেখবেন আর কোনো সমস্যা হচ্ছে না। সন্দেহ কেটে গিয়ে তখন তার মনে সৃষ্টি হবে সহানুভুতি।

শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বনাম বিপরীত লিঙ্গ কর্মস্থলে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুসর্ম্পক তৈরির ভিত্তিতে নারী পুরুষ সবার সাথে সদ্ভাব বজায় রাখা বাঞ্চনীয়। কিন্তু অনেক দাম্পত্য জীবনে এটা হয়ে উঠে অশান্তির কারণ। অনেক পুরুষ বা মহিলা আছেন যাদের সন্দেহবাতিক রয়েছে। তারা স্ত্রীকে বা স্বামীকে নিজের সম্পত্তি মনে করেন এবং অন্য কারো সঙ্গে কথা বলাটাকে সন্দেহের চোখে দেখেন। এটা এক ধরনের মানসিক রোগ। আর অসুস্থ সন্দেহের পেছনে থাকে না কোনো যৌক্তিক কারণ বা প্রমাণ।

যেমন, স্ত্রী পড়াশোনা করতে গিয়ে অন্য কারো সাথে প্রেম হয় কিনা অথবা স্বামী চাকরি করতে গেলে অফিসের বস বা কলিগ কারো সাথে ভাব হয় কিনা। এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ পায় সন্দেহ রূপে। এজন্যে বিপরীত লিঙ্গের সহকর্মী বা সহপাঠীর সাথে মেলামেশার ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে আপনাকেই। যদি এমন হয় যে নির্দিষ্ট একজন ব্যক্তিকে নিয়ে সমস্যা এবং তার সাথে মাঝে মাঝে দেখা হয় আর তার সাথে দেখা না হলেও চলে। তবে সেটাই করুন।

কারণ ঘরে অশান্তি করে আপনি সুখী হবেন না। তাই সম্ভব হলে এই সম্পর্কগুলোকে পুরোপুরি এড়িয়ে চলুন। আর কখনো এমন মানুষগুলোর সাথে দেখা হয়ে গেলে জীবনসঙ্গীর সামনেই তাদের সাথে কথা বলুন, তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন। এছাড়া মেডিটেশনে কমান্ড সেন্টারে আপনার স্বামী বা স্ত্রীকে বোঝানোর পাশাপাশি সময়-সুযোগ বুঝে সরাসরিও তাকে বলতে পারেন।

কারণ আপনি আপনার এই প্রিয় মানুষটির প্রতি ১০০% বিশ্বস্ত হলেও তিনি এ ব্যাপারে ১০০% নিশ্চিত নন বলেই তার এই সন্দেহবাতিক। তাই আপনি নিজের ওপর পূর্ণ বিশ্বাস রেখে সুযোগমতো নিজের অবস্থানকে পরিস্কার করুন। দেখবেন তখন সম্পর্কে সন্দেহের বদলে স্থান করে নিচ্ছে স্বচ্ছতা।

ভবিষ্যতের অগ্রগতি বনাম অতীতের সর্ম্পক বিয়ের আগে স্বামী বা স্ত্রী যে কারো প্রেমের সম্পর্ক বা গোপন বিষয় থাকতেই পারে। কিন্তু বিয়ের পরে উভয় পক্ষই যদি এই বিষয় অনুসন্ধান এবং পর্যালোচনা করার চেষ্টা করেন তবে সেটা শুধু জটিলতা সৃষ্টি করবে। কারণ বিয়ের পর যদি একজন স্বামী এবং একজন স্ত্রী পরস্পরের প্রতি বিশ্বস্ত থাকার মানসিকতা রাখতে পারে, তাহলে বিয়ের আগে কী কী হয়েছে, এসব নিয়ে কারো-ই মাথা ঘামান উচিত না। এমনকি এগুলো পরস্পরকে বলারও কিছু নাই। কারণ অতীতে ফিরে যাওয়া যায় না। যেতে হয় ভবিষ্যতে।

অতীত নিয়ে অগ্রসর হওয়া যায় না, এগুতে হয় ভবিষ্যতকে নিয়ে। যাইহোক এরপরও যদি আপনি কিছু জেনে থাকেন বা শুনে থাকেন বা সন্দেহ তৈরি হয়ে থাকে, তবে এটা নিয়ে অগ্রসর হওয়া মানে নিজের হাতে নিজের সুখী হওয়ার সুযোগকে সীমিত করে ফেলা। তাই এক্ষেত্রে ক্ষমা করে দেয়াটাই আপনার জন্যে ভালো হবে। কারণ আপনি যদি মানুষকে ক্ষমা করেন স্রষ্টাও আপনাকে ক্ষমা করবেন। ইতিবাচকতা বনাম নেতিবাচক চিন্তা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুধু ভালবাসা থাকলেই যে সংসারের বন্ধন দৃঢ় হবে সেটা কিন্তু নয়।

অনেকসময় পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে যে কোনো একজনের মনে অপরজনকে নিয়ে জন্ম নিতে পারে ভয়, ঈর্ষা অথবা হীনম্মন্যতা । এহেন নেতিবাচক আত্মধারণা পরবর্তীতে সন্দেহ রূপে প্রকাশ পায়, যা মানসিক যন্ত্রণা দেয় দুজনকেই। যেমন অনেক সময় স্বামী-স্ত্রীর যে-কোনো একজনই হয়তো ভেবে থাকেন যে, আমি দেখতে অতটা সুন্দরী বা স্মার্ট নই, আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা খুব বেশি নয়, আমার জীবনসঙ্গী হয়তো আমাকে নিয়ে সন্তুষ্ট নন, সে যদি আমাকে ছেড়ে চলে যায়, কেন সে অমুকের সাথে এভাবে কথা বলল প্রভৃতি।

এক্ষেত্রে নেতিবাচক আবেগে মন তিক্ত হওয়ার আগে সুযোগ বুঝে সরাসরি কথা বলুন। যদি তার কোনো অক্ষমতা থাকে সেটা সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করুন। সঙ্গীনির ভালো দিকগুলো তুলে ধরুন। এতে তিনি ভুল সংশোধনে উদ্বুদ্ধ হতে পারেন। আসলে অপরপক্ষকে নিয়ে কিছু চিন্তা করার আগে নিজের অবস্থান নিয়ে ভাবুন। নেতিবাচক আবেগে মন তিক্ত হওয়ার আগে সুযোগ বুঝে সরাসরি কথা বলুন। যদি তার কোনো অক্ষমতা থাকে সেটা সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করুন। সঙ্গীনির ভালো দিকগুলো তুলে ধরুন। এতে তিনি ভুল সংশোধনে উদ্বুদ্ধ হতে পারেন। একে অপরের কাজের যথাযথ মূল্যায়ন করতে শিখুন।

কারণ পারিবারিক সমৃদ্ধির জন্যে সামনে এগুতে হবে আপনার জীবনসঙ্গীকে সাথে নিয়েই। আর আপনার স্বামী/ স্ত্রী যদি আপনাকে নিয়ে কোনো নেতিবাচক আবেগে আক্রান্ত হয়েও থাকেন। তবে আপনি তার সাথে সম্পূর্ণ ইতিবাচক ব্যবহার করুন, প্রোএকটিভ থাকুন।

আপনার সঙ্গী যে আপনাকে কত ভালবাসে এটা সবসময় আকার ইঙ্গিতে তাকে বোঝাতে চেষ্টা করুন। যেমন, আপনিও তাকে বোঝাবেন যে, তুমি আমাকে কত ভালবাসো। আমি কত সুখে আছি। কত ভালো আছি। এবং সবাই বলে তুমি আমাকে কত ভালবাসো। অর্থাৎ যতটা পজেটিভ ভাবে তাকে পজেটিভ মানুষ বলা যায়, সেভাবে তাকে বলার চেষ্টা করুন।

সরাসরি কথা বনাম তৃতীয় পক্ষ দাম্পত্য জীবনে অশান্তি সৃষ্টির একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে, এই সম্পর্কে তৃতীয় পক্ষের কোনো কথায় প্রভাবিত হওয়া। অথবা স্বামী স্ত্রীর ভুল বুঝাবুঝি তৈরি হলে তৃতীয় পক্ষকে (আত্মীয়, বন্ধু, প্রতিবেশী) জড়ানো। এই বিষয়টিও সুখের সংসারে সন্দেহ হয়ে ঘর বাধে এবং ধীরে ধীরে ভয়াল ব্যধির মতো নিঃশেষ করে দিতে চায় মধুর স্মৃতিগুলোকেও।

তাই সম্পর্কের জটিলতায় সবসময় সরাসরি কথা বলুন। কাউকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করবেন না। কারণ সর্ম্পক যত সরাসরি হবে, ভুল বুঝাবুঝি তত কম হবে। সন্দেহ থেকে যখন আত্মউপলব্ধি সন্দেহ একটি মনের রোগ। তাই এই রোগ ভালো হয়ে যায় ঔষুধ ছাড়া।

স্বামী/ স্ত্রী যে কারো এটা হতে পারে যে, তিনি তার এই প্রিয় মানুষটিকে অহেতুক সন্দেহ করেন। এটা যে সঠিক হচ্ছে না সেটা বুঝতেও পারেন। কিন্তু কোনোক্রমেই সন্দেহের জাল থেকে বের হতে পারেন না। পরবর্তীতে এই নিয়ে তার মনে একটা কষ্ট এবং এ থেকে অনুশোচনা সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে মেডিটেশনে কমান্ড সেন্টারে আপনার সঙ্গীকে নিয়ে আসবেন এবং অনুভব করবেন যে তাকে কত ভালবাসেন।

অনুভব করবেন এবং মনে মনে বলবেন যে, আমি তোমাকে এত ভালবাসি এত ভালবাসি। পাশাপাশি তার গুণগুলো নিয়ে ভাবতে থাকুন। এটা নিয়মিত প্রত্যেক দিন করুন। আসলে নিজের স্বামী/ স্ত্রীকে যদি সবচেয়ে ভালো মানুষ হিসেবে ভাবতে না পারেন আপনি কখনো সুখী হতে পারবেন না।

তাই সব মহিলাই ভালো কিন্তু আমার স্ত্রীর জুড়ি নেই সব পুরুষেরই এমনটা ভাবা উচিত। একইভাবে প্রত্যেকটা স্ত্রীর এমনটা ভাবা উচিত যে আমার স্বামী হচ্ছেন পৃথিবীতে সবচেয়ে ভালো। দাম্পত্য জীবনে আমাদের একান্ত আপন সর্ম্পকগুলোতে যোজন যোজন দুরত্ব সৃষ্টি করবে, এহেন কোনো নেতিবাচক আবেগ কারো কাম্য নয়। তাই আসুন আমাদের এই সর্ম্পকগুলো যেন নিজ নিজ সৌর্ন্দযে অটুট থাকে, সেজন্যে সচেতন হই। আমাদের মানবিক আবেগকে জাগ্রত করে গড়ে তুলি শান্তি সুখের নীড়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট